যুক্তরাজ্যে ও ইংল্যান্ডের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। শহরটি গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে টেম্স নদীর তীরে অবস্থিত।
শত শত বছরের প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ অর্থনীতি এবং উন্নত জীবনধারার এক সমৃদ্ধ নিদর্শন হলো যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরটি। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল একটি শহর হিসেবে খ্যাত হলেও এর উন্নত জীবনধারা, শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রযাত্রা এবং কর্মসংস্থানের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ লন্ডন শহরের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
ইউনাইটেড কিংডম অক্সফোর্ড এবং কেমব্রিজ সহ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসস্থল, যেগুলি তাদের শিক্ষার গুণমান এবং অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য তারা যে সুযোগগুলি প্রদান করে তার প্রশস্ততার জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। যুক্তরাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী যে কোনো স্থানে পাওয়া সেরা শিক্ষাগত মানগুলির মধ্যে একটি হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।
যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি একটি অত্যন্ত উন্নত সামাজিক বাজার ও বাজারমুখী অর্থনীতি।এটি নামমাত্র স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) দ্বারা পরিমাপকৃত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম জাতীয় অর্থনীতি, ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) অনুযায়ী নবম-বৃহত্তম এবং মাথাপিছু জিডিপি অনুযায়ী বিশ্বে ২০তম বৃহৎ, বিশ্বের জিডিপির ৩.৩% যুক্তরাজ্য প্রদান করে।
উন্নত দেশ হিসেবে লন্ডনের স্বাস্থ্যসেবা অনেক এগিয়ে। করোনার সময় সেবাকর্মী সংকট এ পড়লেও দেশটি বর্তমান এ স্বাস্থসেবার মানে অনেকটা এগিয়ে।
লন্ডন একটি নাতিশীতোষ্ণ মহাসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল। লন্ডনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ১৭৫৫ সালের নভেম্বরে (১৮৯ মি.মি)। সবচেয়ে শুষ্কতম বছর ছিল ১৯২১। বছরে গড় বৃষ্টিপাত ৫০০ মি.মি। যুক্তরাজ্যের ফলে লন্ডনের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জলবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের মতে,২০৫০ সালের মধ্যে লন্ডনে ভূগর্ভস্থ পানি শেষ হয়ে যেতে পারে।
করোনার ধাক্কার পর দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে লন্ডন মেয়র যাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সমস্যা হয় তাদের জন্য সহায়তার সুযোগ করে দিয়েছেন।