কানাডার মোট আয়তন ৯৯,৮৪,৬৭০ কিমি এবং এটি ৮টি প্রধান ভূপ্রাকৃতিক বিভাগে বিভক্ত।কানাডা উত্তর আমেরিকা মহাদেশের এক বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে। এটি দক্ষিণের পুরো সীমান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে, উত্তর-পশ্চিমেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা দ্বীপের অবস্থান। কানাডা পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর থেকে পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এর উত্তরে উত্তর মহাসাগর অবস্থিত।
কানাডার দুটি অফিসিয়াল ভাষা রয়েছে ঔপনিবেশিক ইতিহাসের কারণে, যেগুলি ইংরেজি এবং ফরাসি এবং এগুলি দেশের সংস্কৃতির উপর প্রভাব বিস্তার করে। তবে কানাডায় 60টিরও বেশি আদিবাসী বা আদিবাসী ভাষা রয়েছে যা সারা দেশে কথ্য। তা ছাড়া, কারণ এটি একটি দেশ যা অভিবাসনের জন্য বেশ উন্মুক্ত, সঙ্গে পুরো বিশ্বের অভিবাসন সর্বোচ্চ হার, এবং প্রকৃতপক্ষে সারা বিশ্ব থেকে অভিবাসীদের দ্বারা একটি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে, কানাডাতে পাঞ্জাবি, ইতালীয়, স্প্যানিশ, জার্মান, ক্যান্টনিজ, তাগালগ, আরব এবং আরও অনেকের মতো ভাষার স্পিকার রয়েছে।
কানাডার প্রায় ৯৯ ভাগ মানুষই শিক্ষিত। বিশ্বে কোয়ালিটি এডুকেশন বললেই সবার প্রথমে আসে কানাডার নাম। দেশটিকে শিক্ষার ক্ষেত্রে সুপার পাওয়ার বলা হয়। বিশ্বে প্রায় ২৬ হাজারের বেশি ইউনিভার্সিটি আছে। বিশ্বে টপ এক হাজার ইউনিভার্সিটির মধ্যে কানাডাতে আছে ২৬টি।
কানাডা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি। দেশটি ওইসিডি এবং জি৮ গ্রুপের সদস্য। অন্যান্য উন্নতদেশগুলির মত কানাডার অর্থনীতির সিংহভাগ সেবামূলক শিল্প নিয়ে গঠিত। প্রায় তিন চতুর্থাংশ কানাডাবাসী কোন না কোন সেবা শিল্পের সাথে যুক্ত আছেন। কাঠ, খনিজ তেল আহরণ ও মোটরযান উৎপাদন শিল্প কানাডার প্রধানতম ভারী শিল্প। কানাডাতে একটি মুক্ত বাজার অর্থনীতি বিদ্যমান।কানাডার মাথাপিছু জাতীয় আয় ২০০৬ সালে ৩৫,২০০ মার্কিন ডলার ছিল।
এ দেশের স্বাস্থ্যসেবা দেখভালের দায়িত্ব প্রাদেশিক সরকারের। হেলথ কার্ড থাকলে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ ফ্রি। কানাডার নাগরিক বা কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসকারী ইমিগ্র্যান্টরা এই সুবিধা পান। প্রত্যেকের জন্য ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান নির্দিষ্ট করা আছে। রোগীকে পরীক্ষা করে ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান ব্যবস্থাপত্র দেন। ব্যবস্থাপত্র রোগীর পছন্দের ফার্মেসিতে অনলাইনে চলে যায়। ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট ল্যাব থেকে সরাসরি যাবে ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানের কাছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ দরকার হলে ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানই বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করবেন। চিকিৎসার যাবতীয় বিল পরিশোধ করবে প্রাদেশিক সরকার। কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে বা রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা ওয়াক-ইন কিননিকে ডাক্তার দেখানোর সুযোগও আছে। ভ্রমণ ভিসায় যারা আসেন তাদের থাকতে হবে স্বাস্থ্যবীমা। ওয়ার্ক ইন্স্যুরেন্স বা প্রাইভেট বীমা পলিসি না থাকলে আপনার সঞ্চয় শেষ হওয়ার জোগাড়।